Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সেবার তালিকা

ইউনিয়ন ভূমি সেবা সমূহ


ভূমি ব্যবস্থপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ণ  ভূমিকা পালন করা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তসিলদার) ও ইউনিয় ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা(সহ তসিলদার) দায়িত্ব ও কর্তব্য....
০১। তার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল মৌজার ১নং রেজিস্টার বা স্বত্ত্বলিপি রেজিস্টার (খতিয়ান বহি) সংরক্ষণ করতে হয় । রেকর্ডপত্র ছিঁড়ে গেলে/ নষ্ট হলো বাঁধাইয়ের ব্যস্ত করতে হবে। 
০২। তার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল মৌজার সরকারী খাস জমির রেজিস্টার অতীব যতেœর সাথে সংরক্ষণ করতে হবে। সকল প্রকার খাস জমির তথ্য হালনাগাদ করতে হয়। নিয়মিত সরেজমিন তদন্ত করে সরকারী জমির দখলকার চিহ্নিত করে রেজিস্টার-৮ এ লিপি করতে হবে। অবৈধ দখলকার উচ্ছেদের নিমিত্তে মামলা রুজু করার ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখতে হবে। 
০৩। তাকে প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হয় । আদয়কৃত অর্থ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে তা সরকারের কোষাগারে চালানমূলে জামা করতে হয়। বাৎসরিক ভূমি ইন্নায়ন করের ব্যবহার ভিত্তিক দাবী নির্ধারণ পূর্বক তাশতভাগ আদায়ের নিমিত্তে সারাবছর সচেষ্ট থাকতে হয় । প্রয়োজনে পাওনাদারকে নোটিশ করেত হয় । বারবার তাগিদ দেওয়া স্বত্বেও টাকা পরিশোধ না করলে কমপক্ষে তিন বছরের ককেয়া দাবীর জন্য ৪ও ৫ ধারা নোটিশ ইস্যু পূর্বক সার্টিফিকেট মামলা দয়ের করতে হয়। ভূসি উন্নায়ন করের টাকা  পরিশোধের জন্য জনগণেকে উৎসাহিত করতে হয়  এবং প্রয়োজনে মাইকিং করতে হয়। বছর শেষে ১০০% আদায় না হলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে বিভিন্নাভাবে তিরস্কৃত করা হয়। 
০৪। তাকে নামজারী, জমাভাগ ও জামাএকক্রীকরণের জন্য প্রস্তাব/প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হয় । উপজেলা ভূমি দআফিস হতে  আবেদন প্রাপ্তির পর তাকে মূল দলিলপত্র/ রেকর্ডপত্রের ধারাবিহিকতার মিলিয়ে দেখতে হয় এবং সরেজমিন তদন্ত করে আবেদিত ভূমিতে আবেদনকারীর দখল রয়েছে কিনা, কারে কোন প্রকার আপত্তি আছে কিনা দেখতে হয় । সবকিছু ঠিক পাওয়া গেলে নামজারী জমাভাগের জন্য তাকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবওে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হয় । উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোন একটিতে সমস্যা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট নামজারী নথিটি খারিজের জন্য প্রতিবদেন দিতে হয়। নামজারী মামলা অনুমোদনের পর আবেদনকারীর নামে নতুন হোল্ডিং খুলতে হয় এবং পূর্বের খতিয়ানে আধেশ তামিল করতে হয়। নামজারী মামলা সংক্রান্ত যেকোন অনিয়ওে জন্য তাকে বিভাগীয় মামলা’র হুমকি মাথায় রাখতে হয়!
০৫। বিভিন্ন প্রকারের সায়রাত মহাল যেমন-হাটবাজার, জলমহাল, বাঁশমহাল, বালুমহাল,পাথরমহাল, ফেরীঘাট ইত্যাদির রেজিস্টার  সংরক্ষণ করতে হয় । উক্ত সারয়রাত মহালগুলো বাৎসরিক ইজারা দেওয়া না হলে তাকে সরেজমিন গিয়ে খাস কালেকশন করতে হয় এবং আদায়কৃত অর্থ সরকারের সংশ্লিষ্ট কোষাগারে জমা দিতে হয়। হাট- বাজারের চান্দিনা ভিটি ( বন্দেবস্তযোগ্য খাস জমি) একসনা লীজর ব্যবস্থা করতে হয়। কোন সায়রাত মহঅল নতুন সৃষ্টি হলে তা ক্যালেন্ডার ভূক্ত কওে ইজারা দেওয়া এবং কোন মহাল বিলুপ্ত হলে তা বিলুপ্ত ঘোষণার নিশিত্ত প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ করেতে হয়। 
০৬। তাকে তার এলাকাধীন সকল মৌজার বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাস জমির তালিকা তৈরি করতে হয় এবং সরকাওের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমিহীনদের মাঝে তা বন্টন করতে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হয়। ভূমিহীনদের ভূমি প্রদান, দখল প্রদান ও তাদেও নামে খতিয়ান সৃজন সন সন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হয়। আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নীতিমালার আলোকে অকৃষি জমি দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের প্রস্তার প্রেরণ করতে হয়। বন্দোবস্ত গ্রহীতা ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক বন্দোবস্তের শর্ত ভঙ্গ হলে বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রতিবেদন দিতে হয়। 
০৭। তাকে সরকারী খাস জমির সংক্রান্ত দেওয়ানী মামলার দফাওয়ারী প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হয় এবং সরকার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হয়। মহামন্য হাইকোর্টের রীট পিটিশনের (যার আর্জি দফাওয়ারী প্রতিবেদন) ও তাকেই দিতে হয়। মামলায় তার প্রতিবেদন ও সাক্ষের উপর নির্ভর করে সরকারী খাস জামির ভবিষ্যত । তাই এ বিষয়ে তাকে শিক্ষিত ও দক্ষ হতে হয়। 
০৮। তাকে অর্পিত ও অনাবাসিক সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, বিনিময় সম্পত্তি , ওয়াকফ্ ও দেবোত্তর সম্পত্তির তথ্য সম্বলিত রেজিস্টার সংরক্ষণ করেত হয় এবয় প্রায়ই সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে হয় । 
০৯। তাকে বিভিন্ন সরাকরী প্রতিষ্টানের নামে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির তালিকা প্রস্ততপূর্বক যত্নের সাথে সংরক্ষণ করতে হয়। ভূমি অভিগ্রহণ (এল এ ) মামলার গেজেট প্রান্তির সাথে সাথে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির নামজারীর ব্যবস্থা করতে হয়। অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিযাতে কোনোভাবে ব্যক্তির নামে নামজারী না হয়  সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হয়। 
১০। বিভিন্ন মিচ সামলা, যথা-নামজারী খাতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি, খতিয়ানের করণিক ভুল সনংক্রান্ত আবেদন ইত্যাদির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হয়। 
১১। তাকে বিঞ্জ অতি : অতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৪৫ ধারামূলে দায়েরকৃত মিচ মাললার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে । 
১২। বিভিন্ন গুচ্ছগ্রাম, আশ্রায়ন প্রকল্প, আবাসন প্রকল্প,আদর্শ গ্রাম ইত্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালান করতে হয়। 
১৩্। সরকারী খাস জমি হতে অবৈধভাবে বালু  উত্তোলন, মাটি কাটা, গাছ কাটা, পাহাড় কর্তন, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য পত, রাস্তা, নাসি, করনস্থঅন,শ্নাশান ইত্যাদিতে অনু প্রবেশ , স্থাপনা সৃষ্টি ইত্যাদিতে তাকে ঝুকি নিয়ে তাৎক্ষণিক বাধা রক্ষার্থে তাকে বাদী হয়ে ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে হয়। 
১৪ । তাকে কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সহযোগিতায় প্রতি বছর বর্ষার পর নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করে সিকস্থি (নদী ভাঙ্গা অংশ) ও পয়স্থি (নতুন চর জাগা অংশ লাইন নির্ণয় করে সিকস্থি জমির ভূমি উন্নয়ণ কর আদায় বন্ধ করতে হয় এবং পয়স্থি জমি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাস খতিয়ান ভুক্ত করে ভুমিহীনদের মাঝো বন্দোবস্তের ব্যবস্তা করতে হয়। 
১৫। তাকে আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে জামর শ্রেনি পরিবর্তন পূর্বক ব্যবহার বিত্তিক ভূমি উন্নায়ন কর আদায় বা মওকুপের ব্যবস্থা নিতে হয়।
১৬। তাকে তার এরাকায় জরিপ চলাকালীন সময়ে বিভিনাান গুরুত্বর্পূন ভূমিকা পালন করতে হয়। 
১৭। তাকে দূর্নীতে দমন কমিশন কর্তৃক চাহিত বিভিন্ন অভিযুক্ত ব্যক্তির ভূ- সম্পত্তির তথ্য সরবরাহ করতে হয়। 
১৮। এছাড়াও বিশেষ সময়ে তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যায্য মূলের চার বিতরণ তদারকি করতে হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে দূর্গাপুজায পুজামন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে হয়, প্রাকৃতিক দূযোগের সময় ত্রান ও পুনবাসন মন্ত্রণালয়ের  অধীনে দায়িত্ব পালন করতে হয়। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের আওতায় দায়িত্ব থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন হোটের , রেস্টুরেন্ট , করাতকল, পেট্রোল বিক্রেতার তালিকা ইটভাটার লাইসেন্স তদারকি, বিভন্ন মিল কারখানা বৈধ কাগজ জত্র তাদারকি, মসজিদ , মন্দির ,স্কুল , কলেজ , সাইক্লোন শেল্পারের তালিকা সংরক্ষন ইত্যাদি অসংখ্য কাজ করতে হয়। 
১৯। এসব ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চহিত সাপ্তাহিক ,পাক্ষিক, মাসিক ও ষান্নাসিকা বিভিন্ন রিপোট/ রির্টান যথাসময়ে জমা দিতে হয় । 
২০। উপরোল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও তাকে সবচেয়ে যে গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয় তা হলো জনসাধারণের সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদেরকে হাসিমুখে বিদায় দেওয়া। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত  এসব ভূমি সৈনিককে সরকারী জমি রক্ষােির্থ অতন্দ্র প্রহরীর মত ভূমিকা রাখতে হয়। তাদেরকে প্রতিদিন চোর, ডাকাত, আইনের লোক ,খুনী ,রিক্্রাচালক ,দিনমজুর ,জুয়ারী ,কোটিপতি, সরল, কুটল , কবি , ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, শিক্ষিত,অশিক্ষিত, মাওলানা, রাজনীতিবিদ, তরুণ , যুবক,পৌঢ, বৃদ্ধ, পুরুষ,নারী , বিত্তবান, অসহায়, নেতা , কর্মী, ছাত্র ইত্যাদি হাজারো রকমের  মানুষের সাথে মিশতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন পাবলিকের স্বভাব ভিন্ন ভিন্ন রকম। কিন্ত সকলের সাথে ভদ্র, মার্জিত,ও সুন্দও ভাষায় কথা বলতে পারাটাই একজন ভূসক/ উভূসক  এর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। 
উপরোল্লেখিত জনগুরুত্বপূর্ন কাজগুলি করতে গিয়ে একজন ভূসকের যে সকল আর্থিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পদ মর্যাদা তাকা উচিত তার কোনটাই বিদ্যমান বেতনস্কেল ও নিয়োগবিধিতে নেই এ কথা সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য। বর্তমানে দেশের বিচারালয়ে বিচারাধীন প্রায় ৮০% মামলার উৎপত্তি ভূমি কেন্দ্রিক ।রাষ্টের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভূমি বিষয়ক কর্মরত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা/ উপ সহকারী কর্মকর্তাগনের প্রেরিত প্রস্তব/ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে । তাই ভূসক কে হতে হবে শিক্ষিত , দক্ষ ও কর্মতৎপর কেন্দ্রীক । রাষ্ট্রের সবোচ্চ পর্যায়ে ভূমি বিষয়ক যে কোন সিন্ধান্ত নেওয়া হয় ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা/ উপ সহ; কর্মকর্তাগণের প্রেরিত প্রস্তাব/ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে । তাই ভূসক কে হতে হবে শিক্ষিত,দক্ষ ও কর্মতৎপর। তা না হলে রাষ্ট্রীয় সিন্ধন্ত ভুল হতে বাধ্য । ভূমির কর্মচারী চোখ দিয়ে রাষ্ট্র/ সরকার ভূমিকে দেখে। তাই একজন ভূসক শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে হবে, বেতন স্বেল বাড়িয়ে পদমর্যাদা বাড়াতে হবে যাতে কর্মক্ষেত্রে কেনরুপ হীনমন্যতায় না ভুগে, কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় টিএ/ ডিএ বিলের ব্যবস্থা করতে হবে যেন পাবলিকের পকেটের দিকে তাকাতে না হয়। কারন সরকারী কাজ করতে গিয়ে যদি বেতনের টাকা খরট করতে হয় তবে মাস শেষে ঐ টাকা ঘওে নেওয়ার জন্য অবশিষ্ট থাকবে না। 
তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন ......
আসুন বসুন ,দেখুন, উপরোল্লেখিত বিষয়গুলো ভাবুন এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সারাদেশের মাঠপর্যায়ের ভূমি প্রশাসনকে বাচাঁন এবং জনসাধারনকে আরে বেশি গুনগত সেবা করার সুযোগ দিন।